রাসেল মাহমুদ।। বাংলাদেশের ঋতু চক্রে এখন বর্ষাকাল। আমন ধান চাষাবাদের উপযুক্ত সময়। তাই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে এসব অঞ্চলের কৃষকরা এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে আমন ফসল চাষে।
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর, হাটবিলা, রূপদিয়া, শাখাঁরীগাতী, জিরাট, মুনসেফপুর, পদ্মবিলা সহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখাযায়, আমন চাষ কাজে গৃহস্থ ও শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।
কাঁকডাকা ভোরের আলো ফুঁটতে না ফুঁটতে’ই ক্ষেত থেকে আমন ধানের চারা সংগ্রহ ও রোপনের কাজ করছেন কৃষকেরা। রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে আমন ধানের চারা রোপন, ক্ষেত পরিচর্যা, সহ ফসল চাষাবাদের ব্যাপক তোড়জোড় যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
এসব এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের আমন চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খরচ অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত প্রতি বছর ধান চাষিদের লোকসান গুনতে হয়। সরাসরি সরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে কষ্টার্জিত ধান ক্রয়ের সুবন্দোবস্ত না করলে কৃষিখাতে সুদিন ফিরে আসবেনা।
কৃষক জাহাঙ্গীর খাঁন দৈনিক যশোর’কে দেয়া সাক্ষাতে বলেন প্রতি কাঠা জমিতে শুরু থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত ধান ১ থেকে দেড় হাজার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২’শ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সেখানে খোলা বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রয় হয় প্রকার ভেদে ৮’শ থেকে ৯’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে দেড়শ থেকে ২শ টাকার মত লোকশান গুনতে হয়।
তা ছাড়া নানা প্রতিকূলতা সাথে যুদ্ধ করে ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। কৃষি পণ্য’র দাম সহনীয় পর্যায় ও সরকার নির্ধারিত দাম নিশ্চিত করনে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষক বাঁচানোর সম্ভাব।