রাসেল মাহমুদ : কাজীদের কারসাজি’তে অপ্রতিরোধ্য বাল্যবিয়ে। অভিভাবকদের ভুলভাল বুঝিয়ে একটু বেশি ইনকামের ধান্দায় স্বস্ব ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নির্ধারিত সরকারি রেজিস্টার বা কাজীদের জন্য অফিস রুম বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কোনো কাজী থাকেন না। নরেন্দ্রপুর ও কচুয়া ইউনিয়নের মত দেশের বহু জায়গায় এমন চিত্র দেখাযায়। পরিষদে কাজী অফিসের রুম বরাদ্দ থাকা শর্তেও অন্যত্রে ব্যক্তিগত ভাবে ঘরভাড়া নিয়ে থাকেন। সরকারি রেজিষ্ট্রার-কাজী অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বাল্যবিয়ের উপর সরকারী বিধি-নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কাজী কর্তৃক এসব বিয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। সচেতন মহলের চোখে ধুলো দিতে ছেলে-মেয়ের প্রকৃত বয়স এর তথ্য গোপন রেখে, জাল সনদ তৈরি, সাংবাদিক, প্রশাসন ও এলাকার পাতি নেতাদের ম্যানেজ করা সহ সব ধরনের ঝুক্কি-ঝামেলা সামাল দেওয়ার চুক্তিতে ছেলে-মেয়ের অভিভাবকের কাছ থেকে মোটাংঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজী অফিসের খাসকামরায় নিয়ে গোপনীয়তার সাথে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে অনেক। কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও সুরায় সরকারি-বেসরকারি বহু উদ্যোগ গ্রহণের পরও অসাধু অর্থলোভী রেজিষ্টার-কাজীদের কারসাজীতে নীরবে-নিভৃতে চলছে অহরহ বাল্যবিয়ের ঘটনা। অন্যদিকে এক অনুসন্ধানে জানাগেছে মহামারী করোনায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, শিশু সুরা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, ধর্ষণসহ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বাল্যবিয়ের দিকে ঝুঁকছেন অনেক অভিভাবকরা। যে কারনে কন্যাশিশুর জন্ম সনদে কারচুপি, বয়স লুকিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যাসন্তানকে বিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যাশিশুকে বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেক েেত্র রাতের আঁধারে বেশ গোপনীয়তার সাথে শেষ করা হয় বাল্যবিয়ের আয়োজন। বর্তমানে করোনায় বিয়ে সহ সকল অনুষ্ঠান না করতে সরকারের নির্দেশনার সুযোগে লোকচুর আড়ালে গোপনে কন্যাশিশুকে বিয়ে দেওয়া ঘটনা বেড়েছে বহুগুণ।
জন্ম সনদে অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যার বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হছে বিয়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিশু ও বাল্যবিয়ে নিয়ে কাজ করা কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা নিলেও অসাধু কাজী/রেজিস্টারদের কারসাজি’তে তা পুরোপুরি থামানো যাছেনা। এ ছাড়া করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অভাব, পাড়া-প্রতিবেশীর প্রভাবে ও কাজীদের প্ররোচনায় অভিভাবকরা আইন লঘন করে বিয়ে দিয়ে দিছে।