সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশের উপকূলে অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের মুখে পড়ে প্রতি বছর জীবন ও সম্পদের ব্যাপক তির মুখে পড়েন উপকূলের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব থেকে য়তি কমানো এবং উপকূলবাসীকে রায় বিশেষ ধরণের গৃহ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট। ঘূর্ণিঝড় সহনশীল এ ধরণের বাড়ী-ঘর উপকূলীয় এলাকায় তৈরি করা গেলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন ও সম্পদের তি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে আশা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার অনলাইনে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় এমন আশা করেন তারা। যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর মহপরিচালক আশরাফুল আলম। কর্মশালায় আলোচনা করেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শায়ের ঘৌর, উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের জেষ্ঠ্য পরিচালক কাজী এমদাদুল হক, কারিতাস কর্মকর্তা রতন কুমার পোদ্দার, এ্যাকশান এইড কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনসহ নির্মান বিশেষজ্ঞরা। বক্তারা জানান, প্রতিবছর ধারাবাহিক ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছাসে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের উপকূলীয় এলাকা। এতে জীবন ও সম্পদের তির মুখে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে ঘূর্ণিঝড় সহনশীল বাড়ি-ঘর উপকূলীয় বাসিন্দাদের ঘুরে দাড়াতে কাজে দেবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শার্শার বাজারগুলোতে কোনোভাবেই কমছেনা কাঁচা মরিচের দাম
শহিদুল ইসলাম,বাগআঁচড়া প্রতিনিধিঃ কোনোভাবেই কমছে না শার্শা উপজেলার বাজার গুলাতে কাঁচা মরিচের দাম।ইন্ডায়া থেকে আমদানিকৃত এলসির কাঁচা মরিচ বাজারে ঢোকার পর ও বর্তমানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। তবে বাজার ভেদে দামের তারতম্য রয়েছে।অথচ আড়তে দেশী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত মরিচ বিক্রি করছেন ১১০থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। উপজেলার শার্শা,নাভারণ,বেনাপোল ও বাগআঁচড়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৫০ থেকে১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এতে করে মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি থাকলেও মরিচের ঝালে চোখ মুছতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে এখন প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। বেশি দামে কেনার কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের দাবি বৃষ্টির অজুহাতে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে শার্শা বাজারে কাঁচা মরিচ খুচরা বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়। সেখান থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়কিলোমিটার দূরে নাভারণ বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকায়। শার্শা বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ঈদের পর থেকেই টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত ৩-৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলে ও বাজারারের যে অবস্থা তাতে সামনের দিকে আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস চরমে পৌঁছেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে প্রতিনিয়ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা কটাকাটির ঘটনা ঘটছে। কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাগআঁচড়ার মের্সাস সবুজ ভান্ডার এর পরিচালক সলেমান বলেন, দুইদিন আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ টাকা । গতকাল বাজারে ইন্ডিয়ান এল সির কাঁচা মরিচ এসে একটু দাম কমেছে । আজ কাঁচা মরিচ এর মূল্য ১৪০ টাকা পাইকারি। আল আমিন ভান্ডারে এর পরিচালক মোঃ রাকিবুর রহমান বলেন আমরা যেমন দামে ক্রয় করি অল্প লাভ রেখে বিক্রয় করি । বাগআঁচড়া গ্রামের ক্রেতা মেহেদী বলেন,কাঁচা মরিচ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য। দাম বেশি হওয়ায় আমাদের জন্য প্রয়োজন মতো কিনে খাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। সরকারী ভাবে বাজার মনিটরিং এর দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন,বিষয়টি আপনার মধ্যমে জানলাম।বাজার মনিটরিং করে তদন্ত পুর্বক আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
Home
খুলনা বিভাগ উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সহনীয় বাড়ি-ঘর নির্মান এবং নকশা চূড়ান্তকরণ জাতীয় কর্মশালা...