ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ ঝিনাইদহ জেলা ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে থাকলেও সরকারী হাসপাতালগুলোতে রি-এজেন্ট নেই। ফলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গুর পরীা হচ্ছে না। অথচ ২০১৯ সালে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা ভাইরাস দেখা দিলে ঝিনাইদহে ডেঙ্গু আতংক কমে আসে। চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ এক হলেও চিকিৎসা ভিন্ন। ডেঙ্গু হলে ডাব্লিইউ বিসি ও প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যায়। এর জন্য এনএস ওয়ান পরীা করতে হয়। পাঁচদিনের মধ্যে এই এন.এস-ওয়ান পজিটিভ হয়ে যায়। তারপর আই.জি.জি ও আই.জি.এম পরীা করতে হয়। পরের পরীা দুইটি ব্যায় বহুল। জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে রি-এজেন্ট না থাকায় শহরের বেসরকারী প্যাথলজি কিনিকগুলোর এখন পোয়াবারো। তারা ইচ্ছামতো মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। করোনা আর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মানুষ এমনিতেই আতংকের মধ্যে আছে। সাধারণ জ্বর আসলেও মানুষ করোনা ও ডেঙ্গুর পরীা করাচ্ছেন। কিন্তু সরকারী হাসপাতালে রি-এজেন্ট না থাকায় বেসকারী কিনিকে ১২’শ টাকা দিয়ে পরীা করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে অনেক গরীব রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে বলা হয়েছে ডেঙ্গুর রি-এজেন্টের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। হয়তো দ্রুতই চলে আসবে। চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে ডেঙ্গু রোগীর সাড়ে তিন’শ টাকায় একটি পরীা করেই রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। আর ৪/৫ দিন পর আরো দুইটি পরীা করতে হয়, যা রোগীদের জন্য ব্যায়বহুল। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিথিলা ইসলাম জানান, রি-এজেন্ট ছিল কিন্তু ডেট নেই। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই চলে আসবে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান, ডেঙ্গু পরীার রিএজেন্ট রুটিন ওষুধ নয়। ঝিনাইদহ সদর হাসপালে রিএজেন্ট ছিল, কিন্তু সম্প্রতি ডেট চলে গেছে। আমরা রি-এজেন্ট এর চাহিদা পাঠিয়েছি। হয়তো দ্রুতই চলে আসবে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান অফিসার আব্দুল কাদের জানান, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই প্রথম মাহবুব নামে একজনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু ধরা পড়ে। এরপর ৮ মাসে প্রায় ৮০০ রোগী সনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ উম্মে হুমায়রা কানেতা জানান, এখন জ্বর আসলে আর আগের মতো স্থির থাকা যায় না। জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া কেবলমাত্র একটি উপসর্গ। এর কারণ কোভিড-১৯, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া না-কি টাইফয়েড ? কোভিড মহামারির সঙ্গে ডেঙ্গু যুক্ত হলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। দুটো রোগের উপসর্গ এক হলেও চিকিৎসা পদ্ধতিতে আছে বিস্তর পার্থক্য। কারো যদি দুটি রোগ একই সঙ্গে হয়, সেেেত্র স্বাস্থ্য জটিলতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি চিকিৎসা পদ্ধতির জটিলতাও অনেক। তিনি বলেন, কোভিড এ রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বেড়ে যায়। এজন্য রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেঙ্গুতে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বা ব্লিডিং টেনডেনসি থাকে। তাই রক্ত পাতলা করার ওষুধ দিলে আরো মারাত্মক পরিস্থিতি হবার আশঙ্কা থাকে।
কালিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নসিমন চালক নিহত!
মোঃ হাচিবুর রহমান, কালিয়া (নড়াইল) নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় ফার্ণিচারের কাঠবোঝাই নসিমন উল্টে চালক রমজান মোল্যা (৩০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩...
বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা মনোয়ার হোসেনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন।
কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মনোয়ার টেইলার্স এর মালিক মনোয়ার হোসেন দিপু গত রাত ৩ টার সময় তার নিজ বাস...
সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শিশিরের মাতা পরলোকগমন
নাসির উদ্দিন নয়ন কুয়াদা যশোর প্রতিনিধ : যশোর সদর উপজেলা ১১ নং রামনগর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কামালপুর গ্রামের সতীঘাটা বাজারে পল্লী চিকিৎসক...
তুলারামপুরে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
যশোর প্রতিনিধি : বারি সরিষা ১৮ জাতের উৎপাদনশীল ও উৎপাদন উপলক্ষে এক মাঠ দিবস যশোর আঞ্চলিক কৃষক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ও গাজীপুর বিএআরআই গবেষণা...
অভয়নগরে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময়
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার...