নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা আশানারূপ ইলিশসহ অন্যান্য মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান এই দুইটি নদীতে মাছ না পেয়ে জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই সুযোগে দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের দাদনের টাকার জন্য জেলেদেরকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে। জেলে পল্লী হিসাবে খ্যাত উপজেলার উপকূলীয় এলাকা বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, আউলিয়াপুর, রনগোপালদী ও আলীপুরা এলাকায় এখন জেলেদের মধ্যে দাদন ব্যবসায়ীদের কারনে ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে দেশী প্রজাতির নানা ধরনের মাছ এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হয়নি। এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কম পেয়ে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছে। উপজেলায় মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান,দশমিনা,বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের নদ-নদী,খাল-বিল পুকুর ডোবা এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলে সহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসাবে পরিচিত পোয়া,ইলিশ,আইড়,রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার,কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার,বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ সহ পোনা নিধন,শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়া সহ প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে চাষকৃত কার্প জাতীয় রুই,কাতলা,পাঙ্গাস,হাইব্রিড শিং,মাগুর এবং থাই পুটি,কৈ ও তেলাপিয়া সহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। চাষকৃত মাছের কাছে দেশী প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে। জেলেরা জানায়, দারিদ্রতার কারনে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহন,কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিদেশী চাষকৃত মাছের কাছে দেশী প্রজাতির মাছ মার খেয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশী মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। এদিকে উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা জাল ফেলে কোন ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য মাছ কম পাবার কারনে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছে। ভরা মৌসুমেও কাংখিত মাছ না পেয়ে জেলেরা দিশে হারা হয়ে পড়েছে।
কালিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নসিমন চালক নিহত!
মোঃ হাচিবুর রহমান, কালিয়া (নড়াইল) নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় ফার্ণিচারের কাঠবোঝাই নসিমন উল্টে চালক রমজান মোল্যা (৩০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩...
বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা মনোয়ার হোসেনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন।
কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মনোয়ার টেইলার্স এর মালিক মনোয়ার হোসেন দিপু গত রাত ৩ টার সময় তার নিজ বাস...
সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শিশিরের মাতা পরলোকগমন
নাসির উদ্দিন নয়ন কুয়াদা যশোর প্রতিনিধ : যশোর সদর উপজেলা ১১ নং রামনগর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কামালপুর গ্রামের সতীঘাটা বাজারে পল্লী চিকিৎসক...
তুলারামপুরে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
যশোর প্রতিনিধি : বারি সরিষা ১৮ জাতের উৎপাদনশীল ও উৎপাদন উপলক্ষে এক মাঠ দিবস যশোর আঞ্চলিক কৃষক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ও গাজীপুর বিএআরআই গবেষণা...
অভয়নগরে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময়
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার...