মালিকুজ্জামান কাকা : যশোরের আদালতে চলমান মামলা মীমাংসা এবং আপোষনামার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক প্রতারক নারী ও তার সহযোগী চক্র। যশোর জেলার বাঘারপড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের ঘটনা এটি। ঐ প্রতারক নারী লাবনী আক্তার ঐ গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী। নিজের স্বামী কবির হোসেন সহ চার সহযোগী এবং লাবনী এই পাঁচজনে মিলে একই গ্রামের জোহর আলী মোল্যার পুত্র খাইরুল, জাফর মোল্যার পুত্র আব্দুর রউফ, করিম মোল্যার পুত্র বহু মামলার আসামি শাহিনের সাথে যোগ সাজশে এই প্রতারক চক্রটি ঐ আত্মসাৎ করেছে। আদালতের একজন উকিলের সিল মোহর সম্বলিত স্বাক্ষরহীন একটি আবেদন অর্থ দাতাকে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাঘারপাড়া আমলী আদালত যশোর একটি মামলা চলছে। এই মামলার বাদি লাবনী আক্তার। মামলা নম্বর সি আর ১৫০২/২১। ১২০ (খ)/৩৩১১/৩৬৬(ক)/৫০৯/৩৪ দঃবিঃ ধারার মামলাটি প্রত্যাহার করবেন মর্মে একটি শালিষ মীমাংসা তথা আপোষনামা করেন বাদি ও তার দোসররা। এর বিনিময়ে অভিযুক্তরা ৫০ টাকা দাবি করেন। যথারিতী তাদের সেই টাকা প্রদান করেন একই গ্রামের আরব আলী মোল্যার পুত্র হাফিজুর রহমান। বিগত ১৩/০৯/২১ তারিখে টাকাটি লাবনী আক্তার, লাবনীর স্বামী কবির হোসেন, খাইরুল ও আব্দুর রউফ গ্রহন করেন। অদ্যাবধি ঐ চক্রটি মামলা প্রত্যাহার বা প্রত্যাহার প্রসেসিং করেননি।
আদালতের দ্বারস্থ হতেই হাফিজুর গং জানতে পারে লাবনী আক্তারের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন পত্রটি জাল বা ভূয়া। তাতে উকিলের সিল মোহর থাকলেও উকিলের কোন স্বাক্ষর নেই। এবং তা আদালতের সংশ্লিষ্ট এজলাশে প্রোসেসিংও করা হয়নি। এদিকে মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে অর্থ নিয়ে তা আত্মসাৎ করে উল্টো চাপ দিচ্ছে অর্থ দাতা পক্ষ কে যাতে আত্মসাৎকৃত টাকা আর ফেরত দিতে না হয়। হাফিজুরের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান তাদের টাকা লাবনী আক্তার ও তার দোসররা আত্মসাৎ করেছে। এরা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে তাদের কাছে একটি তঞ্চকতা মূলক জাল আবেদন পত্র ফটোকপি ধরিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হতেই জানা গেছে, সেটি জাল বা মিথ্যা। বাস্তবে লাবনী আক্তার আদালতে কোন প্রত্যাহার আবেদন জমা দেননি।