যশোরে তীব্র শীতে জমে উঠেছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোর ব্যাবসা। যশোর জেলার ৮ টি উপজেলার হাটবাজার গুলোতে পৌষের শেষ মাঘের শুরু থেকেই দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। আর কনকনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথেই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো ভিড় জমাচ্ছে যশোর টাউন হল মাঠ গরীবের মার্কেট ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে।
শহরের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জের হাট বাজারের ফুটপাত ছোট বড় বস্ত্র দোকানী সকলেই পূর্বের মজুদ পোশাক ও নতুন পোষাকের চালান নিয়ে ব্যস্ত। শীতকে কেন্দ্র করে প্রতিটি উপজেলার
শহরে ও বিভিন্ন এলাকায় অনন্ত ৫০টি করে মৌসুমী গরম কাপড়ের দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে নিম্নবিত্ত বিশেষ করে দিন মজুর পরিবারগুলোর পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও ভিড় করছে পছন্দের পুরাতন গরম কাপড় কেনার জন্য।অগ্রহায়নের শেষে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই ঘনো কুয়াশায় আছন্ন হয়ে পড়ছে এলাকায়। কুয়াশার সাথে শুরু হচ্ছে হাঁড় কাঁপানো বাতাস। এত নিম্ন আয়ের পরিবার গুলো কাহিল হয়ে পড়ছে। শহরে সরকারি ও বেসরকারীভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করছে তবে সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।শীতের কারণে শুরু হয়েছে ঠান্ডার জনিত বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই। এতে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। জেলা শহরের নামিদামী বিপনী বিতানগুলোতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ না থাকায় নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন ভিড় করছে জেলা শহরের ,বড়বাজার ক্যালেকটারী মার্কেট চত্বর, দড়াটানার ফুটপাতের দোকানগুলোতে এছাড়া যশোর টাউন হল মার্কেট দোকান ও ফুটপাতে গড়ে ওঠেছে পুরোনো গরম কাপড়ের শতাধিক দোকান। এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে।
সবাই যেন মনের আনন্দে কিনছে পছন্দের পুরোনো শীতের পোশাক। স্বল্পমূল্য পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, পায়ের মোজা, হাতের মোজা, কানটুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র। শহরের অটোরিকসা চালক কুতুবউদ্দিন, ভ্যানচালক আজিজুল, ইজিবাইক চালক গফুর শেখ, আমাদের সাংবাদিকদের বলেন, ভাই ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩শত টাকার মধ্যেই মোটামুটি ভালো মানে শীতের পোষাক কেনা যাচ্ছে এসকল পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এসব গরম কাপড় পাওয়া না গেলে গরীব মানুষ গরম কাপড় কিনতে পারতোনা।যশোর ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড় বিক্রেতা আরিফ, সোহেল রানা ও টাউন হল মার্কেটর শরিফুল ইসলাম , টুটুল, জাহিদুল ইসলাম বলেন, শীতকে সামনে রেখে আগেভাগেই চট্টগ্রাম, গাজিপুর, নারায়নগঞ্জসহ রাজধানী ঢাকা থেকে গরম কাপড় আমদানী করা হয়েছে। প্রথম দিকে শীত একটু কম পড়ায় ক্রেতা না মিললেও শীত পড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় বাজারে বেচাকেনা বেড়ে গেছে।তবে শহরের বড় বড় মার্কেট গুলোতে ভালোমানের শীতের কাপড় কিনতে গেলে তার দাম চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। অনেকের স্বাদ আছে কিন্তু স্বাধ্য না থাকার করণে ঘুরে ফিরে সেই পুরাতন মার্কেট থেকেই কিনছে তাদের দরকারী শীতের পোশাক। আর যারা স্বচ্ছল ভাবে চলাফেরা করে তারা তাদের পছন্দ মতো শীতের পোশাক কিনে নিচ্ছেন শহরের নামীদামী ব্রান্ডের দোকান থেকেই। তাই সবমিলিয়ে বলা চলে যশোরে শীত মৌসুমে ভালোই কেনাবেচায় ব্যাস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কাপড় ব্যাবসায়ীরা।